ঢাকা, ১১ মে রোববার, ২০২৫ || ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
good-food
৬৪৫

গণতন্ত্রের লাশের ওপর মহাভোজ তামাশার বিকৃত প্রকাশ : রিজভী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:২৮ ১২ জানুয়ারি ২০১৯  

৩০ ডিসেম্বর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাজানো ডিজাইনে ভোট লোপাটের মহাভোজ উৎসব মহা ধুমধামে চলছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, যে দল ভোটে বিজয়ী হয়, সাধারণত: তাদের কর্মীরাই উৎসব, ভোজ ইত্যাদিতে মেতে থাকে। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা বাহিনী একটি রাজনৈতিক দলের তথাকথিত বিজয়ে উৎসব উদযাপন করে, এটা শুধু নজীরবিহীন ও হাস্যকরই নয়, হতবাক করা বিস্ময়কর বটে। এটি গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে তামাশার বিকৃত প্রকাশ। সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো- ২৯ ডিসেম্বর রাত ও ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতিতে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, এখন গণতন্ত্রের লাশের ওপর মহাভোজের আয়োজন করেছে তারা।

শনিবার সকাল ১১টার দিকে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
 
তিনি বলেন, এই সমস্ত ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়-দেশ চলবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা একতরফা নির্বাচনের সংস্কৃতিতে এবং শেখ হাসিনা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়েই দেশের নিয়ন্ত্রণ রাখবেন। সরকার তথাকথিত হিংসা ও মহাজালিয়াতির নির্বাচনের বিনিময়ে দেশের মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব করেছে। এখন সরকার দমননীতির উত্থান প্রবল থেকে প্রবলতর করছে। সারাদেশে বিএনপি’র অনেক নেতাকর্মীর বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে, নেতাকর্মীদেরকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, তাদের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি কেড়ে নেয়া হচ্ছে।

 রিজভী বলেন, বিশ্বের দেশগুলোর গণতন্ত্রের তালিকায় নেই বাংলাদেশ। এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনমিষ্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। বর্তমানে বাংলাদেশ পূর্ণ গণতন্ত্র বা ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের অবস্থানে নেই। বাংলাদেশের অবস্থান স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলোর সমপর্যায়ে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-বাংলাদেশে নির্বাচনে বেশ অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে, যা নির্বাচনে সুষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে, বিরোধী দল ও প্রার্থীর ওপর সরকারী চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকেও বেশী খারাপ, বাংলাদেশে বর্তমানে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে, আইনের শাসন খুবই দুর্বল, সিভিল সোসাইটি দুর্বল, সাংবাদিকরা সবসময় হয়রানী ও চাপের মুখে থাকে এবং বিচার ব্যবস্থাও স্বাধীন নয়।

রিজভী বলেন, ইআইইউ রিপোর্ট প্রকাশের পর সরকারের কিছু আজ্ঞাবাহী বুদ্ধিজীবী অবান্তর কথাবার্তা বলছেন। তারা বলেছে-গণতান্ত্রিক ধাপে বাংলাদেশ এগিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবস্থান তলানীরও নীচে অতলে নিমজ্জিত।